মানসিক রোগ বলে কোনো কিছুর অস্তিত্বই স্বীকার করতে চান না
অনেকে। গায়েবি আওয়াজ শোনা, ভ্রান্ত কিন্তু দৃঢ়বিশ্বাস, অহেতুক সন্দেহ, আচার-আচরণ বা
কথাবার্তার অস্বাভাবিক পরিবর্তন,
কনভার্সন ডিসঅর্ডারের (যা হিস্টিরিয়া বা মুর্ছা রোগ নামেই বেশি পরিচিত) উসর্গগুলোকে জ্বিন-ভূতের আছর, জাদু-টোনা-তাবিজ-আলগা বাতাসের প্রভাব বলেই বিশ্বাস করেন অনেকে। আত্মীয়-স্বজন এসব সমস্যায় আক্রান্ত হলে তৎারা চিকিৎসাও করান তেল-পড়া, পানি-পড়া, তাবিজ, ঝাড়-ফুঁক, ‘শিকল থেরাপি’ ইত্যাদির মাধ্যমে।
কনভার্সন ডিসঅর্ডারের (যা হিস্টিরিয়া বা মুর্ছা রোগ নামেই বেশি পরিচিত) উসর্গগুলোকে জ্বিন-ভূতের আছর, জাদু-টোনা-তাবিজ-আলগা বাতাসের প্রভাব বলেই বিশ্বাস করেন অনেকে। আত্মীয়-স্বজন এসব সমস্যায় আক্রান্ত হলে তৎারা চিকিৎসাও করান তেল-পড়া, পানি-পড়া, তাবিজ, ঝাড়-ফুঁক, ‘শিকল থেরাপি’ ইত্যাদির মাধ্যমে।
অনেকের কাছে মানসিক রোগের উপসর্গগুলো বয়সের দোষ, বিষেয়র জন্য
টালবাহানা, ঢং বা ভং ধরা। চিকিৎসার ব্যাপারে এদের বিশ্বাস, ‘মাইরের ওপর ওধুধ নাই!’
কারো কাছে আবার মানসিক রোগের লক্ষণ ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতার বহি:প্রকাশ। কখনো কখনো শারীরিক
উপসর্গ যে মানসিক রোগের কারণে হতে পারে, তাও অনেকে মানতে চান না। ফলে মানসিক সমস্যার
প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে শারীরিক উপসর্গ নিয়েই ব্যতিব্যস্ত থাকেন তঁারা। কিন্তু বাস্তবতা
হচ্ছে, শরীরের যেমন রোগ হয়, তেমনি রোগ হয় মনেরও। এবঙ মানসিক রোগেরও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা
রয়েছে। সুতরাং কুসংস্কারের বেড়াজালে আটকে না থেকে মানসিক রোগ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ
নিতে হবে। সূত্রঃ কালের কন্ঠ, ১০ অক্টোবর, ২০১৩।
No comments:
Post a Comment